Followers

Sunday 10 June 2012

মাতা-পিতা অন্যায় করলেও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে !!

মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন,

"পিতা-মাতার প্রতি সশ্রদ্ধ ও ভক্তিপূর্ণ সদ্ব্যবহার নামায, দান-খয়রাত, রোযা, হজ্ব, ওমরাহ এবং জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আমল। "

মহানবী (সাঃ) আরো ইরশাদ করেছেন,

"যে ব্যাক্তি এরূপ অবস্হায় রাত পোহালো যে , তার পিতা-মাতা তার প্রতি সন্তুষ্ট, আল্লাহ-তায়ালা তার জন্য সকাল বেলায় জান্নাতের দিকে দুটি দরজা খুলে দেন । এমনিভাবে পিতা-মাতাকে সন্তুষ্ট রেখে যদি সন্ধ্যা করে , তবে তখনও তার জন্য জান্নাতের দিকে দুটি দরজা খুলে দেওয়া হয় । আর যদি সে যে কোন একজনকে সন্তুষ্ট রাখে , তবে তার জন্য একটি দরজা খুলা হয় ( আরেকটি বন্ধ রাখা হয় )। পিতা-মাতার সন্তুষের সাথে সন্তুানের বেহেশ্তের সম্পর্ক বলবৎ - যদিও তারা (সন্তানের উপর) জুলুম করে, যদিও তারা জুলুম করে, যদিও তারা জুলুম করে ।
পক্ষান্তরে যদি সন্তান পিতা-মাতাকে অসন্তুষ্ট করে রাত পোহায় তবে সকালে তার জন্য দোযখের দিকে দুটি দরজা খুলে দেওয়া হয় । আর যদি সে যে কোন একজন কে অসন্তুষ্ট করে তবে তার জন্য একটি দরজা খোলা হয় - যদিও তারা (সন্তানের উপর) জুলুম করে , যদিও তারা জুলুম করে, যদিও তারা জুলুম করে ।"

হুযুর আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন,

"জান্নাতের খুশবো পাচশত মাইল দুর থেকে পাওয়া যায় ; কিন্তু পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান এবং আত্নীয়তার সম্পর্কচ্ছেদকারী ব্যক্তি তা পাবে না " ।

তিনি আরো ইরশাদ করেন,

"পিতা-মাতা , বোন ও ভাইয়ের সাথে সদ্ব্যবহার কর , অতঃপর পর্যাক্রমে নিকটতম আত্নীয়দের সাথে সাদাচারণ কর ।"

আরও ইরশাদ হয়েছে,

"সন্তান যখন কোনরূপ সদকা বা দান-খয়রাতের ইচ্ছা করে, তখন তার উচিত , পিতা-মাতার জন্য নিয়ত করা - যদি তারা মুসলমান হয় । এর সওয়াব পিতা-মাতার জন্যে হবে এবং তাদের দু-জনের সম-পরিমাণ সওয়াব হবে সন্তানের ; অথচ পিতা-মাতার সওয়াবে কোন ঘাটতি হবে না ।"

হযরত মালিক ইবেন রবীয়াহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর নিকট উপস্হিত ছিলাম , এমন সময় বনী সালিমার এক ব্যাক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রাসূলূল্লাহ ! মাতা-পিতার প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের পর আরো কিছূ বাকী থাকে কি যা আমি তাদের মৃত্যুর পর করতে পারি ? তিনি বললেন, হ্যা, তাদের কল্যাণের জন্য ক্ষমা চাওয়া , তাদের মৃত্যুর পর তাদের প্রতিজ্ঞা পূরণ করা, তাদের ওসীলায় যাদের সাথে তোমার আত্নীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা এবং বন্ধু-বান্ধবদের সম্মান করা । "

আরও ইরশাদ হয়েছে,

"মাতার হক সন্তানের উপর দ্বিগুণ "

আরও ইরশাদ হয়েছে, " মাতার দোয়া অধিকতর শীঘ্রই কবুল হয়ে থাকে । " আরজ করা হলো, 'ইয়া রাসূলূল্লাহ ! এর কারণ কি ? ' তিনি বললেন, ' পিতার তূলনায় মাতা অধিকতর স্নেহময়ী । আর এরূপ দোয়া অগ্রাহ্য হয় না ।"

সূত্রঃ মুক্কশাফাতুল ক্বুলুব - আত্নার আলো । ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ) ।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...