Followers

Sunday 17 June 2012

ডাউনলোড করুন ইসলামিক শিক্ষামুলক হাঁসির গল্পের বই মুসলমানের হাঁসি :)

আজ আপনাদের সাথে একটি বই শেয়ার করছি । বইটির নাম মুসলমানের হাঁসি । সত্যি বলতে এই বইটি থেকে আমি অনেক কিছু জেনেছি , শিখেছি , বইটিতে কিছু গল্প আছে যা কিনা আপনাকে কখন হাঁসাবে আবার কখনও কাঁদাবে । কয়েকটি গল্প অনেক সুন্দর যেমন , জমিদার বাবুর আল্লাহ্‌ দেখার ঘটনা , সুন্দরি নারীর চোখ , শবে বরাত , চোর যখন দরবেশ , ইত্যাদি সহ আরও অনেক গল্প পড়ে সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । তাই সবাই একটি কপি ডাউনলোড করে সংগ্রহে রাখুন , সবার কাছে গল্পগুলো সত্যি খুব বেশি ভালো লাগবে http://www.avatarhosting.net/pics/40555/DOENLOADLOGOCOLAREING.gif
ভালো থাকবেন সবসময় ।

একটি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে শিখে নিন পবিত্র আল-কোরআন!

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমি আজ আপনাদের একটি সফটওয়্যার দিবো যার মাধ্যমে পবিত্র আল-কোরআন শিখতে পারবেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ সত্যি। সফটওয়্যারটি পোর্টেবল তাই ইন্সটল্যাশন এর ঝামেলা নেই।

কোরআন শিক্ষার সফটওয়্যারঃ-

>>> ঘরে বসে কম্পিউটারে কুরআন শিক্ষার জন্য এই ছোট সফ্টওয়ারটি হতে পারে আদর্শ এক শিক্ষক।
>>> সফ্টওয়ারটি ডাউনলোড করে Al-Qura’n Shikha.exe ফাইলটি ক্লিক করে ওপেন করুন।
>>> আপনার নাম টাইপ করে প্রবেশ করুন।
>>> এবং এর নানা ফিচারের সাথে পরিচিত হোন নিজে নিজে।
>>> আপনি কোন একটি লিখার উপর ক্লিক করলে আপনাকে পড়ে শুনাবে।
>>> সূচিপত্র তে ক্লিক করে প্রথম পাতায় যেতে পারবেন।
>>> নিশ্চিৎ আপনার ভালো লাগবে এবং একই সাথে শিখতে পারবেন পবিত্র আল-কোরআন, পড়তে পারবেন সহজে ইনশাল্লাহ।

পবিত্র আল-কোরআন শিক্ষার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে।

বিঃদ্রঃ- সফটওয়্যারটি ট্রায়াল ভার্সন লিখা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন সবসময়। :)
►►►পবিত্র আল-কোরআন বাংলায় আপনার কপি সংগ্রহ করে নিতে ক্লিক করুন এখানে।

আজ এ পর্যন্তই। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ইনশাল্লাহ। আমার জন্য দুয়া করবেন।
আল্লাহ হাফেজ। :)

Wednesday 13 June 2012

তোমরা হয়তো একটি মসজিদ ভেঙ্গে দিতে পারো।। কিন্তু, মন থেকে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা আর ঈমান কিভাবে ভেঙ্গে দিবে??

ইন্ডিয়ার বিখ্যাত বাবরি মসজিদটি ধর্মের রেষারেষিতে ভেঙ্গে ফেলা হয়।।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেই বাবরি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে নামাজে সিজদা...রত অসংখ্য মুসলমান ভাইয়েরা।।

আল্লাহর রহমতের জন্য প্রার্থনা করা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা জরুরী।।

ভালো লাগলে ছবিটি LIKE ,tag, Share করুন।। যদি সম্ভব হয় সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন আল্লাহ এবং ইসলামের প্রতি ভালোবাসার এই অপূর্ব নিদর্শনটি।

Tuesday 12 June 2012

দাফনের বিচিত্র প্রক্রিয়া !!

জন্মিলে মরিতে হয় । এটা বিধাতার বিধান । এ বিধান লঙ্ঘন করার সাধ্য কারো নেই । মানুষ মৃত্যুবরন করলে মৃতদেগ ধর্মভেদে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সৎকার করা হয় । সব ধর্মের সৎকার রীতি এক নয় । তবে প্রচলিত রীতির বাইরেকিছু গোষ্ঠী অভিনব অনেক প্রক্রিয়ায় সমাধি কার্য সম্পন্ন করে – যা একদিকে অমানবিক অপরদিকে অদ্ভুতও বটে । এটা সাধারণত হয়ে থাকে ধর্মীয় বিধি বিধান লোকাচার ও প্রথাগত কুসংস্কারের কারণে । চলুন জানা যাক  পৃথিবীর নানা দেশে প্রচলিত বিচিত্র কায়দার কিছু দাফন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ——–
প্যারাগুয়ে
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়েতে আদ্দেগালু উপজাতীয়দের কেউ মারা গেলে তার আত্মীয় স্বজনরা লাশটি কেটে রান্না করে খায় । হাড়গুলো জমা করে কিছুদিন ফেলে রাখে । তারপর একদিন সেগুলো পুড়িয়ে তার ছাইগুলো সযত্নে রেখে দেয় । এরকম করলে প্রেতাত্মা কোন ক্ষতি করতে পারে না বলে তাদের বিশ্বাস ।
একই দেশের আজকুইরা গোত্রের কারও মৃত্যু হলে অন্যরা এসে মৃতের আত্মীয়স্বজনের মাথায় কিলঘুষি চড় থাপ্পর মারতে থাকে । এতে মৃত ব্যক্তির প্রেতাত্মা দুর হয়ে যায় বলে তাদের ধারণা ।
——————————————————————————————————————–
ওয়াক থু………কি সর্বনাশ আছতাগফিরুল্লা
———————————————————————————————————————
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনির দুটি গোত্র ভিটাইয়া ও বেলালুর লোকজনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে । এক গোত্র অন্য গোত্রের কাউকে খুন করতে পারলে হত্যাকারী গোত্রের লোকজন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে । পুরুষরা পাখির পালক মাথায় দিয়ে এবঙ মেয়েরা মাথায় বনফুল গুজে নাচ গান শুরু করে । অন্যদিকে মৃতের গোত্রের লোকজন নানা ধরণের উপহার সামগ্রী লাশের মাথার চারপাশে জমিয়ে রাখে । এক ব্যক্তি একটি তীরের মাথায় এক গোছা ঘাস বেধে সেটা শুণ্যে নিক্ষেপ করে । পরে লাশটি পুড়িয়ে ফেলা হয় ।
——————————————————————————————————————
মানুষ মানুষরে দিয়া মায়া মহব্বত নাই আজব সৃষ্টি আল্লাহ তাআলার
——————————————————————————————————————–
মেক্সিকো
নিউ মেক্সিকোর পিলে বেলু গোত্রের কারও মৃত্যু হলে প্রথমে মদপানের ব্যবস্থা করা হয় । তারপর একজন জ্যোতিষি মৃতের মাথা থেকে এক গোছা চুল কেটে নিয়ে কবর খুড়তে যায় । মৃত ব্যক্তির ঘর থেকে কবর পর্যন্ত খাবার ভর্তি থালা পেতে দেয়া হ য় । সবাই একসঙ্গে খাওয়া শেষে জ্যোতিষি ক্রস চিহ্ণ একে দেয় । এতে মৃতের আত্মা ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে ঘরে ঢুকতে পারে না বলে তাদের বিশ্বাস । এরপর মৃত দেহটিকে সমাহিত করা হয় ।
==================================================================
খাবার ভর্তি থালা………………………সবাই আবার আনন্দ করে খায়ও কিভাবে? ভিতরে খাবার যায় কিভাবে। একজন আত্মীয় মারা গেলে কত কষ্ট লাগে। খাবার তো দুরের কথা
=================================================================
তিব্বত
নেপাল ও ভোটান রাজ্যসংলগ্ন তিব্বত সীমান্ত এলাকায় বাস করে এক অদ্ভুত আদিবাসি । যার নাম সোরপা । তাদের সমাজে কারও মৃত্যু ঘটলে এরা এক ধরণের মন্ত্র পাঠ করেন । এতে মৃতদেহের ভেতর থেকে আত্মা মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায় এমন বিশ্বাসই লালন করে সোরপা নামক এ অধিবাসীরা ।
এরপর লাশটিকে বসানোর মত করে বেধে রেখে তার সামনে বাতি জ্বালানো হয় । সে বাতির আলোয় লাশের চারদিকে বসে সবাই খাওয়া দাওয়া করে । পরে লাশটিকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় ।
তিব্বতীয়দের মধ্যে আরও ভয়ানক সৎকার রীতি প্রচলিত রয়েছে । মৃতদেহটিকে পাহাড়েরর চুড়ায় তৈরী একটি সমতল স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ।সেখানে পেশাদার একজন লোক দীর্ঘ ধারালো ছুরি দিয়ে মৃতদেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে । এরপর গোশতের টুকরোগুলো শকুনকে খাওয়ানো হয় । তিব্বতীয়দের বিশ্বাস, এতে মৃত ব্যক্তি স্বগীর্য় সমাধি লাভের মাধ্যমে অমর থাকে ।
===================================================================
বাপরে বাপ!!!!!!!!!!! কি ভয়ানক কান্ড
===================================================================
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলে মারমা উপজাতির বসবাস । এ সম্প্রদায়ের কারো মৃত্যু হলে প্রচুর মদ খেয়ে নাচ গানসহ শবদেহ নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয় ।
রঙিন কাগজে সাজানো বাশ ও কাঠের তৈরী পালকিতে শবদেহ রেখে ২০/২৫ জন লোক সেটা বহন করে নিয়ে যায় । পালকির সামনে থাকে পুরোহিত এবং বহনকারীদের মাথায় থাকে পাগড়ি । শববাহী পালকির আগে পিছে বাজনার তালে তালে বিচিত্র নাচ গান পরিবেশিত হয় । এভাবে দীর্ঘক্ষণ আনন্দ উল্লাস শেষে পালকিসহ মরদেহটি পুড়িয়ে তা মাটিতে পুতে ফেলা হয় ।
===================================================================
মারা গেলে আনন্দ কেমন মায়া মহব্বত হীন মানুষ আল্লাই জানেন
==================================================================
দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকায় লুথ নামে একটি গোত্র আছে । এ গোত্রের কেউ মারা গেলে তারা নাড়িভুড়ি বের করে সবাই স্যুপ রান্না করে খায় । এরপর মৃতদেহটি পাহাড়ের উপর কিংবা সুবিধাজনক জায়গায় রেখে তা না শুকানো পর্যন্ত পালা করে পাহাড়া দেয়া হয় । শুকিয়ে অনেকটা শুটকির মতো হয়ে গেলে কেটে কেটে রান্না করে খাওয়া হয় ।
==================================================================
ওয়াক থু বমি আসতেছে কিভাবে সম্ভব আছতাগফিরুল্লা
===================================================================
আল্লাহ পাকের কাছে লাখ লাখ কোটি কোটি শুকরিয়া………যে, আল্লাহ আমাকে একজন মুসলমান করে সৃষ্টি করেছেন । আমাদের ধর্মের দাফন প্রক্রিয়া কত সুন্দর ।
আল্লাহ পাক যেন ঈমানের সাথে আমাকে মৃত্যু দেন । আমীন

বৈধ ভালবাসা ও নিষিদ্ধ প্রেম !!

চারটি অক্ষরের সমন্বয় খুব ছোট একটি শব্দ ভালবাসা যাকে আরবী ভাষায় মুহাব্বত ও ইংরেজী ভাষায় Love বলে। যার অর্থ হচ্ছে, অনুভূতি, আকর্ষণ, হৃদয়ের টান; যা মানুষের অন্তরে আল্লাহপাক সৃষ্টিগতভাবে দিয়ে দেন। সাধারণত ভালবাসা দুই ধরনের (১) বৈধ ও পবিত্র (২) অবৈধ ও অপবিত্র । বিবাহের পূর্বে আধুনিক যুবক-যুবতীরা যে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকেই অবৈধ ও অপবিত্র ভালবাসা বলে। আর পবিত্র ভালবাসা বলতে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসা,স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা ইত্যাদিকে বুঝায়। আল্লাহপাক আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা মাখলুক হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। অন্য কোন জীব জন্তুকে আমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেননি। এমনকি সর্ব শ্রেষ্ঠ আখেরী নবী  মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মত আমাদেরকে বানিয়েছেন। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত সর্ব প্রথম এই নিখিল বিশ্বের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তাআলাকে ভালবাসা এবং আমাদের সর্বশেষ নবী ও হাবীবে রাসূল  মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ভালবাসা। আল্লাহপাক কুরআন শরীফে এরশাদ করেন:
وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ
‍যারা ঈমানদার মুমিন, তাদের অন্তরে আল্লাহর মহব্বত ভালবাসা হবে সর্বাধিক প্রগাঢ়। সূরা আল বাকারা। (আয়াত সূরা আল বাকারা: ১৬৫) আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন: কোন লোক পূর্ণ মুমিন হবে না যতক্ষণ না সে নিজের জীবন এবং পরিবার পরিজনের চেয়ে আমাকে বেশী ভালবাসবে। এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ তার রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ভালবাসা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য তথা ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ভালবাসার অর্থ হচ্ছে তার সুন্নত ও আদর্শের অনুসরণ করা। আর যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নতের বেশী অনুসরণ করবে তাতে বুঝা যাবে তার অন্তরের মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি প্রেম-ভালবাসা অধিক গাঢ় এবং যারা নবীজির সুন্নতের অনুসরণ করেনা, তাঁর শরীয়ত মানে না শুধু লোক সমাজে মুখে আশিকে রাসূল, আশিকে নবী তথা নবী প্রেমিক বলে দাবী করে প্রকৃত পক্ষে তারা আশিকে রাসূল নয়। তারা শয়তান-ধোকাবাজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরায়, সে আমার উম্মত নয়। অন্যথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‌যে আমার সুন্নাতকে ভালবাসল, সে যেন আমাকে ভালবাসল, আর যে আমাকে ভালবাসল সে আমার সাথে বেহেশতে থাকবে।
আল্লাহ ও রাসূলের পরেই রয়েছে মাতা-পিতার প্রতি মহব্বতের ফযিলত। প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সাহাবারা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ!  সে ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, মাতা-পিতাকে জীবিত পেয়েও তাদের সেবা-যত্ন করে যে জান্নাত খরিদ করেনি। এ ছাড়া মাতা-পিতার দুআ সন্তানের জন্য অনিবার্যভাবে কবুল হয়।
স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসার ফযিলত : হাদীস শরীফে আছে, স্বামী-স্ত্রী মহব্বতের সাথে আলাপ আলোচনা করা কথা-বার্তা বলা নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। অন্যথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে মহিলা (স্ত্রী) তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
সন্তানকে ভালবাসার ফযিলত : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ সন্তান ফাতিমাকে অত্যাধিক ভালবাসতেন। তিনি স্বীয় জবানে এরশাদ করেন, ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা, তাকে কেউ কষ্ট দিলে আমাকেই কষ্ট দেয়া হবে। নবীজির পাক জবানের বর্ণনায় ফুটে উঠে যে সন্তানকে ভালবাসা ছাওয়াবের কাজ।
পক্ষান্তরে আমাদের সমাজে বেগানা যুবক-যুবতীর প্রেম-ভালবাসার নামে যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি উত্তাল সাগরের উর্মিমালার মত বহমান রয়েছে তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ ও হারাম। বিবাহের পূর্বে এরূপ প্রেম-ভালবাসা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়, অবৈধ। ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী কোন যুবতী কোন অবস্থায় কোন যুবকের সান্নিধ্যে থাকতে পারেনা। উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং শয়তান তাদের মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। এতে তারা নিজেরা যেমনি কঠিন গোনাগার হবে, তেমনি তাদেরকে এই মেলামেশার সুযোগ দেয়ার কারণে তাদের পিতা-মাতা ও অভিভাকদেরকে হাদীস শরীফে দাইয়ুস বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে যে, দাইয়ুস জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই এইসব ব্যাপারে সকলের কঠোরভাবে সাবধান হওয়া জরুরী এবং তা ঈমানের দাবী। আর এই অবৈধ ভালবাসার প্রতিরোধের জন্যই আল্লাহ নর-নারীকে দিয়েছেন পর্দার বিধান। এই বিধান নারী-পুরুষ উভয়ে পরিপূর্ণ রূপে পালন করলে সমাজে ঐ রকম অবৈধ ভালবাসার কোন অবকাশই থাকবে না। আমাদের সমাজের অনেকের আবার মন্তব্য যে, প্রেম-ভালবাসা নাকি বৈধ, তাদের উক্তি হল যে, প্রেম পবিত্র, ভালবাসা পবিত্র। তাদের এই সব কথা সম্পূর্ণ ভুল, নাজায়িয, অবৈধ, অপবিত্র এবং ইসলাম বিরোধী। ভালবাসা কখনও বৈধ হতে পারে না। বস্তুত: এ ধরনের প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক ইসলাম সাপোর্ট করে না। তবে হ্যা যে কেউ তার মনের মত জীবন সঙ্গীনী পছন্দ করে রাখতে পারে বটে। কিন্তু তাই বলে তার সাথে বিবাহের পূর্বে কোন রকম প্রেম-প্রেম খেলা শুরু করতে পারবে না। কেননা বিবাহের ইচ্ছা থাকলেও বিবাহ না করা পর্যন্ত এভাবে প্রেম-ভালবাসা করা গুনাহে কবিরা ও হারাম। এমন কি বিবাহের কথা পাকাপাকি হয়ে গেলেও আকদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন প্রেম-ভালবাসা জায়িজ নয়। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পরই কেবল প্রেম ভালবাসা করতে পারে এবং তা পবিত্র ও ছাওয়াবের কাজ।
কিছুদিন আগে একজন মেয়ে, তার এক ক্লাসমিটের গল্প বললো এভাবে – তার সাথে দেখা হয়। ভাল-মন্দ আলাপের এক পর্যায়ে সে আমাকে এভাবে বলতে শুরু করল- জানিস সারিরা কিছুদিন আগে আমি নানার বাড়িতে গিয়েছিলাম, ওখানে আমার কয়েকজন খালাতো বোনের সাথে দেখা হয়। তাদেরকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠি। এই সেই অনেক গল্প হয়। তাদের মাঝে একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম কিরে মোহনা! বর কি তোকে দেখছে? তখন সে বলল, দেখছে মানে! আমাদের প্রতিদিনই ফোনে কথা হয়। আমি বললাম, এটা ঠিক হয়নি। জাননা- বিবাহের পূর্বে প্রেম করা নাজায়িজ, হারাম। তখন তারা সবাই হেসে উঠল, তাদের এই হাসির কারণ কি আমি বুঝতে পারলাম না। মোহনা বলল, আরে আমাদের বিয়ের সব কিছু ঠিক, এখানে আবার গুনাহের কি আছে। তাছাড়া যদি বিয়ের আগে প্রেম না করি, তাহলে একে অপরকে জানব কেমন করে। হঠাৎ অপরিচিত একজনের সাথে সংসার করব কেমন করে। তাছাড়া প্রেম-ভালবাসা পবিত্র, তখন সবাই এক সাথে বলল হ্যা। প্রেম ভালবাসা পবিত্র তাদের যুক্তি হল- ইউসুফ-জুলাইখা প্রেম করছেন। তিনি নবী হয়ে যখন প্রেম করলেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই প্রেম পবিত্র। আমি তাদেরকে অনেক বুঝালাম, তারা বলল, যদি সঠিক ও স্পষ্ট যুক্তি দেখাতে পারিস তাহলে আমরা তোর কথা মেনে নেব।
দেখলেন তো তাদের যুক্তি, তাদের ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে তারা ইউসুফ-জুলাইখাকে দিয়ে যুক্তি ধরেছে। অথচ তারা জানেনা, ইউসুফ (আ:) এই ঘটনায় জড়িত কি না, জুলাইখার এই ভালবাসার রহস্য কি? কত বছর আগে জুলাইখা ইউসুফ (আ:) কে স্বপ্নের মধ্যে সান্নিধ্য লাভ করেছেন? তার ভালবাসা বর্তমান যুগের যুবক-যুবতীর প্রেম ভালবাসার মত কি না। আর এই না জানার জন্যই তারা প্রেম ভালবাসা পবিত্র বলে অবৈধ প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িত হয়ে অনেক তরুণ-তরুণীর জীবন অকালে ঝড়ে পড়ছে। তাদের লেখা-পড়ার ক্ষতি হচ্ছে, সময়ের অপচয় হচ্ছে। ¯^v¯’¨ নষ্ট হচ্ছে, সাজানো সংসার ভেঙ্গে চুরমান হচ্ছে, সবচেয়ে বড় কথা হল- ঈমানের জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, দীনদারিত্ব নষ্ট হচ্ছে। আসলে ভালবাসা বলতে যা বুঝায়-বর্তমান যুবক-যুবতীর এই ভালবাসা সেই ভালবাসা নয়। তাদের ভালবাসার মূল মিনিং হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় তাদের এই ভালবাসায় অভিভাবকদের সম্মতি থাকে না বিধায় তাদের মুখে চুনকালি দিয়ে পালিয়ে যায়। আবার কিছু দিন পরে যখন প্রেমের আবেগ নিশা টুটে যায়, তখন কালো মেঘের ছায়ার মত নেমে আসে নানাবিধ অস্বস্তি ও যন্ত্রণা। তখন তড়িৎ গতিতে বিচ্ছেদ ঘটে যায়। তারা সর্বনাশা প্রেমে একুল-অকুল সবি হারায়।
তারা কি জানেনা! প্রেম কি? ভালবাসা কি? তার প্রতিফল কি? কেন জানবে না, হ্যা তারা জানে, প্রেম এক মরণাত্বক যন্ত্রণার নাম। একটি হৃদয় বিদারক সংক্রামক রোগ, যা অত্যন্ত ছোয়াছে বড়ই মারাত্মক এ প্রেম। যে একবার এ পথে পা বাড়িয়েছে সে কখনও সুখের ছায়া দেখেনি। কেননা তাতে রয়েছে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নারাজী। প্রেমের প্রধান উৎস হচ্ছে আবেগ আর প্রচন্ড এই আবেগই হচ্ছে প্রেমের চালিকা শক্তি। কিন্তু গভীর এই আবেগকৃত প্রেমের গভীরতা যখন থেমে যায়, তখন প্রেমের বদলে জন্ম নেয় মোহ। কচুপাতার পানির মত এক সময় এই মোহও ঝড়ে পড়ে। তখন স্বপ্ন সাধ, আশা, ভালবাসা সবই হয়ে যায় চুর্ণ। কেউ কেউ আবার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ প্রতিশোধ নেয় (এসিড, খুন বা যুবতীর বিবাহ ভঙ্গন) কেউ চিরকুমার থেকে যায়, কেউ করে আত্মহত্যা। আরে বাবা এত ভয়ক্ষর রাস্তার নামই কি ভালবাসা! তারপরও বুঝে আসে না কি করে যে বিনা বিবেচনায় আজকের তরুণ-তরুণীরা তা বরণ করে নেয়। যারা অবৈধ প্রেমের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে তাদেরকে বলছি এ হারাম পথে কেন নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান? খোদার পথে জীবন পরিচালিত হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ কর। যেখানে থাকবে না কোন অশান্তি, কোন কষ্ট, শুধু থাকবে সুখ আর সুখ, শান্তি আর শান্তি, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ভালবাসা বলতে যা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে ইসলাম বিরোধী। কিন্তু শত আফসোস হলেও সত্য যে, বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষিত ও সচেতন স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা এই ভালবাসা নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। যার ফলে অকালে ঝড়ে যাচ্ছে হাজারো জীবন। প্রতিনিয়ত এসিডে দগ্ধ হচ্ছে হাজারো নারী। আধুনিক বিশ্বে আধুনিক প্রেমের বেলায় এটি কি সত্য। তাই বলতে হয় এটা ভালবাসা নয় এটা মরণ নেশা।
ভালবাসার নামে দেশের ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে ধ্বংস ও নিঃশেষ এর দিকে টেলে দিচ্ছে। যার ফলে পরিবার, সমাজ সবই হচ্ছে কলংকিত, অধ:পতিত। যার জলন্ত প্রমাণ প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় চোখ ভুলালেই দেখতে পাই। তারপরও কি আমরা সে পথ থেকে ফিরে আসতে পারি না? সময় থাকতে তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি না? হ্যা ভালবাসা বড় মহৎ একটি গুণ। মহান আল্লাহপাক এই ভালবাসাকে একশত ভাগ করে নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখে মাত্র একভাগ সারা বিশ্বে সকল প্রাণী জগতে দান করে দিয়েছেন। যার দ্বারা মা সন্তানদেরকে ভালবাসে, স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসে, আত্মীয় স্বজন একে অপরকে ভালবাসে। বাকি নিরানব্বই ভাগ ভালবাসা মহান আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। কিয়ামতের দিন তা দ্বারা তিনি স্বীয় বান্দাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করবেন। মহান আল্লাহ প্রেম-ভালবাসা নামক ধ্বংসাত্বক রোগের প্রতিরোধের জন্য পর্দাপ্রথা দিয়েছেন। এরই মাধ্যমে বাচানো সম্ভব হবে ব্যক্তি, পরিবার সমাজ এবং দেশকে রক্ষা করা। আল্লাহপাক নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-
وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
তোমরা জাহেলী যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করে বাহিরে বের হয়ো না। (আল-কুরআন) যারা অবৈধ ভালবাসাকে পবিত্র বলতে দুঃসাহস দেখান এবং বলেন প্রেম পবিত্র। শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন? তাদেরকে আবারও বলছি, এটা আপনাদের নিছক মুর্খতা ও সম্পূর্ণ অমূলক ভুল এবং ভুল ধারণা। অবৈধ ভালবাসা কখনো পবিত্র হতে পারে না এবং পবিত্র হবার কোন পথও নেই। যুবক ও যুবতীর ভালবাসা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম। এক মাত্র বৈবাহিক সম্পর্কের পর পরই প্রেম-ভালবাসা পবিত্র হতে পারে। বিয়ের আগে তা পবিত্র নয়, হারাম ও কবিরা গুনাহ। যদি বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েও যায় তবুও এ কাজে লিপ্ত হতে পারবে না যতক্ষণ না আকদ হয়েছে। এমন কি আকদের পূর্ব পর্যন্ত প্রেম সংক্রান্ত গোপন চিঠি আদান প্রদান, দেখা-সাক্ষাত, ফোনে কথা-বার্তা বলা সবই  নিষিদ্ধ, কবীরা গুনাহ।
তাই আমাদেরকে সঠিকভাবে বাচতে হলে দেশ, জাতি ও পরিবারকে বাঁচাতে হলে এই অবৈধ প্রেম ভালবাসার পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রত্যেক মুসলমানদের সতর্ক হওয়া অতীব জরুরী। পরিশেষে বলব, যদি আমরা যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের শরীয়ত সম্মতভাবে বৈবাহিক বন্ধনের ভিত রচনা করি তাহলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতে সুখী হতে পারব। দেশ ও সমাজকে পাপাচার থেকে মুক্তি দিতে পারব এবং সামনে আগত প্রত্যেক শিশুকে সুন্দর ভবিষ্যত এবং কাঙ্খিত দেশ সমাজ ও পরিবেশ উপহার দিতে পারব। তাই আসুন, আমরা সবাই সচেতন হই এবং যুবসমাজকে সঠিকভাবে বাঁচার জন্য সুন্দর পথ দেখাই।

Sunday 10 June 2012

মানুষের তৈরী আইন কেন মানুষের জন্য উপযুক্ত নয় ! !

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে দুর্বল, স্বল্পজ্ঞানী, ভূলে যাওয়া এবং ভুল করা ইত্যাদি অনেক দুর্বলতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন । কোন মানুষ একথা বলতে পারবেনা যে, সে সব জানে । আবার পৃথিবীর বড় বড় নামকরা জ্ঞানী-গুণী মানুষরা একত্র হয়ে ও নিশ্চিত করে বলতে পারবেনা যে, আমরা যা বলছি এটাই সর্বকালের জন্য সঠিক, আমরা যে আইন তৈরী করছি তাই সর্বাপেক্ষা উত্তম । আমাদের জ্ঞানে, চিন্তায় , বুদ্ধিতে ও ধারণায় কোন ভুল নেই । সুতরাং সারকথা হল, মানুষের তৈরী আইনে তার এই ভুল, স্বল্প জ্ঞান ও দুর্বলতা প্রকাশ পায় । যার ফলে তার তৈরী আইন তাকে বার বার পাল্টাতে হয় , বার বার তাকে শোধরাতে হয় । মানুষের তৈরী আইন কখনই নিভুল ও সর্বাপেক্ষা সঠিক হয় না ।

অপর দিকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হলেন সর্বপ্রকার দোষ, দুর্বলতা মুক্ত , সর্বজ্ঞানী এবং সব জানেন । তিনি-ই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন । তিনি মানুষের সব কিছু জানেন । তিনি মানুষের জন্য যে আইন তৈরী করেছেন তা মানুষের সব অবস্হার কথা বিবেচনা করে তৈরী করেছেন । উনার তৈরী আইনে কোন ভুল নেই । এজন্য তা বার বার পাল্টাতে হয় না । আল্লাহর তৈরী এ আইন হল তার প্রচারিত দ্বীন বা ধর্ম ।

ইসলাম হলো মহান আল্লাহ পাকের সর্বশেষ এবং পৃথিবীর ধ্বংসের আগ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম । পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্হা ।মানুষ যদি তার ব্যাক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি চায় তবে তাকে আল্লাহর তৈরী আইন মেনে চলতে হবে এবং তা বাস্তবায়িত করতে হবে ।

আসুন আমরা সবাই ইসলামকে সঠিকভাবে জানি এবং তা বাস্তবায়নে নিজেকে উতসর্গ করি । আমরা অনেকেই না জেনেই ইসলামের সমালোচনা করি । অল্প কিছু জেনে এর দোষ খোজার চেষ্টা করি আবার মানুষের ভুল ত্রুটি ইসলামের উপর আরোপ করি ।

ইসলাম একটি মহান এবং সময়োপযোগী ধর্ম । পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবহানা তায়ালা যেমন তার সৃষ্টি মানুষকে ভালোবাসেন , তেমনি তিনি চান মানুষ তার তৈরী এ আইন মেনে চলুক এবং ইহকালে ও পরকালে সফলকাম হউক । এজন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে শোধরাতে হবে । একজন ভালো মানুষ হতে হবে , মহানবী (সা.) সুন্নাহর অনুসরণ করে সচ্চরিত্রবান , ধৈর্য্যশীল , জ্ঞানী এবং উত্তম মুসলমান হতে হবে । তারপর আল্লাহর দ্বীন প্রচারে আত্ননিয়োগ করতে হবে । যতটুকু সময় সময় সম্ভব ততটুকু সময় দিতে হবে । মহানবী (সা.) এর উম্মত হিসেবে এটাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব । আমরা যদি এ দায়িত্ব পালন না করি তবে আমাদেরকে এজন্য মহান আল্লাহপাকে কাছে জবাব দিহি করতে হবে । এবং দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্হ হতে হবে । জীবনে শান্তি ও সফলতা আমাদের থেকে দুরে থাকবে ।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...