Followers

Sunday 10 June 2012

দুনিয়াতে যে মদ পান করবে আখেরাতে আল্লাহ তাকে বিষ পান করাবেন !!

মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, "দুনিয়াতে যে ব্যাক্তি মদ পান করেছে , আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন মারাত্নক বিষ পান করাবেন , যা তার সামনে আনার সাথে সাথে তার চেহারার গোশত ও চামড়া বিষ পাত্রের মধ্যে খসে পড়ে যাবে । আর যখন তা তাকে পান করানো হবে তখন সর্ব শরীরের গোশত-চামড়া খসে পড়বে ; অন্যান্য দোযখীরাও এ বিষক্রিয়ায় কষ্ট বোধ করবে । ওহে লোক সকল, শুনে রাখ - যে মদ পান করে, যে এর রস বের করে, যে রস নিয়ে যায়, যে বহন করে, যার কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যে মদের মূল্যের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে এর সকলেই এই পাপের অংশীদার ; আল্লাহতায়ালা এদের নামায, রোযা, হজ্ব কবুল করবেন না যাবৎ এরা তওবা না করবে । তওবার পূর্বেই যদি এরা মারা যায়, তবে দুনিয়াতে যা পান করেছে , তার প্রতি ঢোকে তাদেরকে জাহান্নামের পূজ পান করানো আল্লাহতায়ালার কর্তব্য হয়ে যায় । খবরদার ! খবরদার ! সর্বপ্রকার মাদক দ্রব্য হারাম । সর্ব প্রকার মাদক দ্রব্য হারাম । "

ইমাম বায়হাকী (রহঃ) হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, " সমস্ত কূকার্যের উৎসমূল (মদ্যপান) থেকে তোমরা বেচে থাক । পূর্বেকার যুগের একজন ইবাদতগুজার ও সাধু লোক ছিলো । জন কোলাহল থেকে দূরে এক বিজন স্হানে সে ইবাদতে মগ্ন থাকতো । একদা জনৈক স্ত্রীলোকের সাথে তার সখ্যতা সৃষ্টি হয় । এ সুবাদে কোন এক বিষয়ের উপর সাক্ষ্যদানের অযুহাতে আপন ক্রীতদাসের মাধ্যমে স্ত্রীলোক তাকে খবর দিলে সে এসে উপস্হিত হয় । গৃহাঅভ্যন্তরে প্রবেশের পর স্ত্রীলোকটি প্রতিটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় । তার সাথেই ছিলো একটি বালক । স্ত্রীলোকটি বললঃ আমি তোমাকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ডাকি নাই ; এটা কেবল বাহানা মাত্র । আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে , তুমি এই বালকটিকে খুন করো অথবা আমার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হও কিংবা এক পেয়ালা মদ পান করো । অন্যথায় আমি চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে তোমাকে অপমান করে ছাড়বো । লোকটি কোন দিশা না পেয়ে মদ্যপানে রাজী হলো । এক পেয়ালা মদ পান করে সে বলতে লাগলো আরো দাও । এভাবে সে বারবার পান করলো । অবশেষে সে স্ত্রীলোকটির সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হলো , এমনকি বালকটিকেও খুন করলো । ওহে লোক সকল ! মদ্যপান পরিহার কর । তা থেকে পূর্ণমাত্রায় বেচে চল । আল্লাহর কসম ! একই ব্যাক্তির হৃদয়ে মদ্যপান ও ঈমান কম্মিনকালেও একত্র হয় না ; একটি থাকে তো অপরটি বের হয়ে যায় । "

কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন,

" হে ঈমানদারগণ ! নিশ্চিত জেনো - মদ, জুয়া, মূর্তি (পূজা) এবং লটারীর জন্য তীর নিক্ষেপ এ সবগুলিই নিকৃষ্ট শয়তানী কাজ । কাজেই এসব থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে থাক , যাতে তোমরা মুক্তি ও কল্যাণ লাভ করতে পার । মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের মধ্যে পারষ্পরিক শত্রুতা-তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে । আর আল্লাহ স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদের বিরত রাখাই হলো শয়তানের একান্ত কাম্য । তবু কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবেনা ? " (সূরা মায়েদাঃ ৯০-৯১)

সূত্রঃ মুক্কশাফাতুল ক্বুলুব । ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ)

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...