Followers

Sunday 10 June 2012

আগুনে পোড়া থেকে অলৈাকিকভাবে আল-কুরআন অক্ষত ! কুরআনের অলৈাকিকতার কি কোন শেষ আছে ?

ব্রাক্ষণবাড়িয়া আখাউরা মোগরা বাজারে সোমবার গভীর রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে । আগুনে ১২ টি দোকান ও ২টি বসত বাড়ী পুড়ে ছাই হয়ে যায় । আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । এই সময় দোকান ও বসত ঘর গুলোর সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায় । কিন্তু অলৈাকিকভাবে বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুরের রহমানের বসত ঘরের আলমারির উপরে থাকা একটি কুরআন শরীফ পুড়েনি । কুরআন শরীফ ছাড়া ওই ঘরের সকল মালামাল ছাই হয়ে গেছে । কুরআন শরীফটি এক নজর দেখার জন্য শত শত মানুষ ওই ব্যবসায়ীর বাড়ীতে ভীড় করছে ।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব । ২৫ / ০১ / ২০১২


=======================================

এখন কথা হলো এই ঘটনা নিয়ে অবিশ্বাসীদের অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করবে । বলতে চাইবেন যে এটা অনেকটা ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে এর মতন অবস্হা । এখন এই সব লোকদের নিকট আমার প্রশ্ন কুরআন শরীফ যে এই রকম আগুনে পুড়ে না এটা কোন নতুন ঘটনা নয়, বার বার কেন ঘটে ? আমরা অনেকেই প্রায়-ই শুনতে পাই । কিন্তু আমরা সেগুলো মনে রাখিনা বা সংগ্রহে রাখিনা । রাখলে বুঝতে পারতাম এটা প্রায়ই ঘটে । আর যেটা প্রায়-ই ঘটে সেটার পিছনে কোন কারণ থাকে । যেমন, আমার মনে আছে বসুন্ধরা সিটি তে গত কয়েক বছর আগে এরকম আগুন লেগে ছিলো , সেখান থেকেও অক্ষত কুরআন শরীফ উদ্বার করা হয়েছিলো । আমাদের সময়ে তখন সেটার ছবি ও খবর প্রকাশিত হয়েছিলো । তারপর পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক যখন বিমান ক্রাশ করে মারা যান তখনও বিমানের পোড়া অংশ থেকে তার ব্যবহৃত অক্ষত কুরআন শরীফ উদ্ধার করা হয়েছে । এরকম অলৈাকিক ঘটনা অনেকের ব্যাক্তিগত জীবনেও আছে ।



ইসরাঈলের ড্রোনের আক্রমণ এর ধ্বংস স্তুপ থেকে রক্ষা পাওয়া কুরআন ।

এটা তো হলো কুরআনের বাহির দিককার মোজেজা । কুরআনের প্রকৃত মোজেজা কিন্তু তার বিষয়বস্তু এবং রচনার উৎস । কুরআন মানব জাতিকে সহজ সরল জীবন বিধান এর নির্দেশনা দেয় । এতে যেমন অতীত এর মানুষের জীবন কাহিনী আছে, তেমনি আছে ভবিষ্যত বাণী । যখন নাযিল হয়েছিলো তখনকার সময়ের প্রেক্ষাপটে রোমান ও পারসিয়ানদের মধ্যকার যুদ্ধের যে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিলো তা যেমন সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে তেমনি সামনের দিনের যে ভবিষ্যত বাণী আছে হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমণ কে কেন্দ্র করে তাও যে সত্য হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । তারপর এই পবিত্র গ্রন্হে মক্কা শরীফে অবস্হিত কাবা শরীফের অবস্হান ও গোল্ডেন রেসিও নিয়ে যে অলৈাকিকতা যেমন আছে তেমনি আছে কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন শব্দের মোট গাণিতিক সংখ্যার অলৈাকিকতা । Click This Link আল-কুরআনেরর পরিসংখ্যান সংক্রান্ত মোজেজা

কাবা শরীফের অবস্হান ও গোল্ডেন রেসিও


Quran Miracle:Iron sent down from space (Discovery Channel)


কুরআনে আরো আছে প্রাচীন এমন শহরের নাম যা কুরআনের পূর্বে অন্য কোথাও পাওয়া যায়নি ।

Click This Link সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের উদ্ধারকৃত শিলালিপিতে রয়েছে নবী-রাসূলদের নাম !! সত্যের একটি জ্বলন্ত নিদর্শন !


" ইরামের প্রতি যাদের ছিল উচু গঠন, যাদের ক্ষেত্রে ওগুলোর সমতুল্য অন্য কোন শহর তৈরী হয়নি " (৮৯-৭-৮)


ফেরআউনের সংরক্ষিত দেহ


69- Then eat from all the fruits and flit about the spacious paths of your Lord. There issues from within her abdomens a drink of varying colors, wherein is healing for the people. Verily in this is a sign for those who understand. [016 SURE AN-NAHAL, V69]



The honeybee has a body that varies in length between 1cm and 3cm, and that is divided into three parts: head, thorax and abdomen. The verse quoted above stresses that in the individual female bee there are "abdomens," which in Arabic is "butuniha," the "ha" referring to a singular female bee.

Click This Link মৌমাছি—বিস্ময়কর এক ভেক্টর গণিতবিদ !

এখন কুরআনের এমন অলৈাকিকতার বর্ণনা দিতে থাকলে কিন্তু পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে ।

এখন এই কুরআন যার মাধমে মানব জাতির নিকট প্রকাশ পায় তিনি কি খুবই উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ছিলেন ? কারণ যে গ্রন্হে আধ্যাত্নিক, সামাজিক, পারিবারিক, বিজ্ঞান, ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার রচয়িতার তো অনেক পড়াশোনা ও বই লেখার পিছনে অনেক সময় ব্যয় করার কথা ।মহানবী (সাঃ) কি সেরকম ছিলেন ? না, তিনি বরং লিখতে ও পড়তে-ই জানতেন না ।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিরক্ষর ছিলেন । যদি তিনি উচ্চশ্রেণীর শিক্ষক হতেন অথবা কোন উচ্চ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতেন তাহলে অনেকে ভাবতেন এত ভাষা, ভাব ও অলংকার সংবলিত কুরআন তাঁরই রচনা । তাছাড়া পন্ডিত পিতা হতেও পুত্রের পান্ডিত্য অর্জন সম্ভব, কিন্তু উনার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই উনার পিতা আবদুল্লাহ পরলোক গমন করেছিলেন । আর বিদুষী মা হতেও শিক্ষা নেওয়া যায়, কিন্তু সেখানেও মহানবী (সাঃ) বন্চিত ছিলেন । কারণ মক্কার বিষাক্ত লু হাওয়া এবং অস্বাস্হ্যকর আবহাওয়ার জন্য কচি বেলাতেই উনার মা উনাকে অনেক দূরে হালিমা নামের এক ধাত্রীর নিকট পাঠিয়েছিলেন লালন পালন করার জন্য । আর হালিমার ছেলেরা ছিল মেষের রাখাল । পরবর্তী জীবনেও ব্যবসা, ধ্যান ও নবুয়তের কাজে ব্যাস্ত ছিলেন , পড়ালেখার ধারে কাছে যাবারও সুযোগ পান নি ।

এই মহিমাময় কুরআন ও মহানবী (সাঃ) এর শিক্ষায় বর্বর ও মূর্খ আরবগণ ইসলাম গ্রহণ করার পর কিভাবে অন্ধকার থেকে উদ্ভাসিত আলোয় উঠে আসে তা ঐতিহাসিকদের নিকট এখনও এক বিম্ময় । টমাস কার্লাইল আরবদের এই পরিবর্তন সম্পর্কে লিখেছেনঃ

"অর্থাৎ পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন হতে মরুভূমির অখ্যাত যাযাবর একটি জাতির নিকট বিশ্বাসযোগ্য একটি বাণী দিয়ে একজন বীর নবীকে প্রেরণ করা হলো, অখ্যাত জাতি হলো পৃথিবী বিখ্যাত , একটি ক্ষুদ্র জাতি বিরাট হয়ে উঠলো, এক শতাব্দীর মধ্যে আরবরা তাদের সাম্রাজ্য গ্রানাডা হতে দিল্লি পর্যন্ত বিস্তৃত করল । তাদের সাহস, ঐশ্বর্য্য এবং জ্ঞানের আলো বহু যুগ ধরে পৃথিবীর একটি অংশকে আলোকিত করেছিলো । এই আরব জাতি, এই নবী মোহাম্মদ এবং এই একটি শতাব্দী - এই গুলো কি আলোর বিচ্ছুরণ নয় ? অখ্যাত বালুকাময় মরুভূমিকে এই আলোর স্পর্শ একটি বিস্ফোরণে পরিণত হলো । দিল্লী হতে গ্রানাডা পর্যন্ত আকাশ বাতাস আলোকিত করে তুলল ।"



কুরআনের অন্যতম মিরাকল হলো তার বিজ্ঞানময়তা । এই সাইট টিতে কুরআনের প্রচুর মিরাকলের কথা বলা আছে । আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পরেন ।

Click This Link miracles of the quran



এখন এত কিছুর পরও কি এটা বলা যায় না যে , কুরআনের সৃষ্টি নিপূণতায় মহানবী (সাঃ) এর কোন হাত ছিল না বরং তা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত একটি ঐশী গ্রন্হ ?

সবশেষে কুরআনে প্রদ্ত্ত আল্লাহর সতর্কবাণী, যার ইচ্ছা সতর্ক হবে আর যার ইচ্ছা অবহেলা করে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে ।

" আমি (ধ্বংস প্রাপ্ত জাতির) প্রত্যেককেই তার অপরাধের কারণে পাকড়াও করেছি । তাদের কারও প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড বাতাস, কাউকে পেয়েছে বজ্রপাত, কাউকে আমি বিলীন করেছি ভূগর্ভে এবং কাউকে করেছি নিমজ্জিত । আল্লাহ তাদের প্রতি যুলুম করেন নি ; কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছে । (সূরাঃ আন-কাবুতঃ৪০)

"যেদিন আল্লাহতায়ালা তাদের সবাইকে পুনরুজ্জীবিত করবেন, সেদিন তিনি তাদের পার্থিব ক্রিয়াকর্মগুলো তাদেরকে অবহিত করবেন । আল্লাহ তায়ালা তা সবই সংরক্ষণ করে রেখেছেন , কিন্তু তারা তা ভুলে গেছে । (সূরা- মুজাদিলা)

আসুন, আমরা কুরআন কে জানি ও কুরআন অনুসারে নিজেদের জীবন গড়ি । পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়ে একে অপরকে ভালো কাজে সহায়তা করি এবং খারাপ কাজে বাধা দেই । তাহলেই কেবলমাত্র আমরা আল্লাহর সাহায্য পাব এবং দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হবো ।

"আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে , অবশ্যই আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে Click This Link , যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ । সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল ।সেখানে তাদের জন্য থাকবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ । তাদেরকে আমি প্রবেশ করাব ঘন ছায়া নীড়ে । (সূরা নিসাঃ৫৭)

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...