হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "কবরে মৃত
ব্যাক্তিগণ এমনভাবে অপরের মুখাপেক্ষী হয়, যেমন পানিতে ডুবতে থাকা ব্যাক্তি
হয়ে থাকে । তারা পিতা-মাতা, ভাই ও অন্যান্য লোকদের দোয়া লাভের জন্য অপক্ষোর
প্রহর গুনে । তাদের কাছে যখন এদের কারো দোয়া পৈাছে, তখন সমস্ত দুনিয়া ও
তাতে যা কিছূ আছে তার তুলনায় সে দোয়া হয় তাদের কাছে বেশী প্রিয় হয়।
নিঃসন্দেহে আল্লাহতা'য়ালা পৃথিবীর মানুষের দোয়া দ্বারা কবরবাসীদেরকে পাহাড়
সমান পূণ্য দান করেন । মৃতদের জন্য জীবিতদের উপঢৈাকন হচ্ছে তাদের জন্য
ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা ।" -- বায়হাকী,মেশকাত ।
হযরত আবু উমামা (রা.) বলেন, রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, মরণের পরে মুমিন
ব্যাক্তি যেসব কাজের পূণ্য লাভ করে, তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে ইলমে দ্বীন ,
পার্থিব জীবনে যা সে প্রচার ও প্রসার করেছে । দ্বিতীয় হচ্ছে, পূণ্যবান
সন্তান-সন্ততি রেখে আসা । তৃতীয় হচ্ছে, কোরআন মজীদ- যা সে উত্তরাধিকারীদের
কাছে রেখে এসেছে । (যখন তারা তা পাঠ করে সে পূণ্য লাভ করে ) চতুর্থ হচ্ছে ,
যদি সে মসজিদ নির্মাণ করে এসে থাকে । পন্চম হচ্ছে, যদি সে মুসাফিরদের জন্য
সরাইখানা নির্মাণ করে থাকে । স্বচ্ছ পানির সুব্যবস্হার জন্য খাল বা কূপ
খনন করে থাকে । আর জীবনের সুস্হাবস্হায় যদি কোন ধন-সম্পদ দান খয়রাত করে
থাকে । এসবের পূণ্য মরণের পরেও সে লাভ করতে থাকে । - ইবনে মাজা, বায়হাকী
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন,
রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, "আল্লাহতা'য়ালা জান্নাতে নেক্বারদে মান-মর্যাদা
বৃদ্ধি করে দেবেন । তখন সে আরয করবে, 'হে আল্লাহ ! এ মহান সম্মান ও মান
মর্যাদা আমি কিভাবে পেলাম ? আল্লাহতায়ালা বলবেন, তোমার জন্য তোমার
সন্তানদের ক্ষমা প্রার্থনা করার ফলে তোমাকে এ মান-মর্যাদা প্রমাণ করা হয়েছে
। " - আহমদ, মেশকাত ।
আর এক হাদীসে আছে, কেয়ামতের দিন কিছূ লোক পাহাড় সমান পূণ্য লাভ করবে । তা
দেখে তারা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করবে - এত বিপূল পরিমাণ পূণ্য আমি কিভাবে
পেলাম ? তখন তাকে বলা হবে, তোমার সন্তানগণ তোমার জন্য মাগফেরাত কামনা করার
ফলে তোমাকে এ সম্মান দান করা হয়েছে । - শরহে সূদুর ।
No comments:
Post a Comment