আমরা মানুষ , আমাদের লোভের কোন সীমা নাই । আমরা আমাদের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য
প্রাণান্তকর পরিশ্রম করি । অথচ এভাবে প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে নিজেকে কষ্ট
দেয়া অনুচিত ।
বর্ণিত আছে, হযরত মূসা (আঃ) তার প্রতিপালককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, (হে
খোদা) , আপনার বান্দাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ধনী ? আল্লাহপাক বলেন, আমি যতটুকু
দিয়েছি ততটুকুর উপর যে সন্তুষ্ট । আবার প্রশ্ন করলেন, আপনার বান্দাদের
মধ্যে কে সর্বাধিক ইনসাফগার ? আল্লাহপাক বললেন, 'যে নিজের প্রতি ইনসাফ করে
(অর্থাৎ যে নিজেকে অহেতুক কষ্ট দেয় না )' ।
প্রকৃত বুদ্ধিমান লোক তারাই যারা অহেতুক নিজের সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম
করে নিজেকে কষ্ট দেয়না । যারা অল্পে তুষ্ট থাকে এবং সহজ সরল জীবন যাপন করে ।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন,
'ধনী-গরীব নির্বিশেষে প্রত্যেকেই কিয়ামতের দিন আরজু প্রকাশ করবে, আহা কত
ভালো ছিলো, যদি আমি দুনিয়াতে জীবন ধারণের পরিমাণ রুজি ই শুধু পেতাম ।'
যার যত সম্পদ হবে , হাশরের মাঠে তার তত কঠিন হিসাব হবে ।
সুলায়মান (আঃ) বাদশাহী পেয়েছিলেন বলে উনি সকল নবীদের শেষে বেহেশ্তে যাবেন ।
আমাদের নবী (সাঃ) চরম দারিদ্রতার জীবন যাপন করে গেছেন । পেটে পাথর বেধে
দ্বীনের কাজ করেছেন । রাত্রে বাতি জ্বালানোর তেলও ঘরে থাকতোনা । উদার হস্তে
দান করতেন । অথচ আমরা উনার উম্মত হয়ে উল্টা পথে হাটছি !
একজন জ্ঞানী বলেছেন, আমি দেখেছি সর্বাধিক চিন্তা পেরেশানীতে থাকে হিংসুক ;
সর্বাধিক সুখী জীবনের অধিকারী 'যা আছে তার উপর' তুষ্টপ্রাণ মানুষ ;
সর্বাধিক কষ্ট সহ্য করতে হয় লালসা পূর্ণ ব্যাক্তিকে । আরো দেখেছি, যারা
দুনিয়াকে বর্জন করে, তারা সহজ জীবন অর্জন করে । যে আলেম শরীয়তের সীমা লংঘন
করে তাকে সর্বাধিক লজ্জিত ও লান্হিত হতে হয় ।
তাই আসুন ভাইয়েরা / বোনেরা, আমরা দুনিয়ার সম্পদের জন্য লালায়িত না হই এবং
সহজ সরল শান্তিময় জীবন অর্জন করি । আল্লাহ আমাদের সকলকে সে তৈাফিক দান করুন
। আমিন ।
সূত্রঃ মুক্কশাফাতুল ক্বুলুব । ইমাম গাজ্বালী (রহঃ)
No comments:
Post a Comment